মোঃ এনামুল হক, লোহাগড়া স্টাফ রিপোর্টার: নড়াইল জেলা লোহাগড়া উপজেলায় লোহাগড়া বাজার সংলগ্নে অনেক দিন পূর্বের একটি সিনেমা হল নির্মান করে।বর্তমান সেভেনস্টার সিনেমা হল এখন কাঠের গুদামে পরিনত হয়েছে। লোহাগড়া উপজেলাসহ বিভিন্ন উপজেলার লোকজনের সমাগম হত এবং তৎকালিক এই সিনেমা হলে টিকিট সংগ্রহের জন্য লাইন দিয়ে অপেক্ষা করত। লোকের ভিড়াভীড়ের ভিতর দিয়ে জমজমাট ব্যবসা করেছে হল মালিক। সংসার চলতো সিনেমা হল’ র কর্মচারীবৃন্দদের।
প্রতিনিয়ত টিকিট বিক্রয় করত সকাল ৯টা হইতে বেলা ১২টা। ১২টা হতে ৩টা,বিকাল ৩টা হতে সন্ধ্যা ৬টা,৬টা হইতে রাত ৯টা,৯টা হইতে ১২টা পর্যন্ত। পর্যায়ক্রমে শো’ দেখার জন্য দর্শক সিনেমো হলে প্রবেশ করিতো। ২০০১ সালের পর থেকে লোহাগড়া সেভেনস্টার সিনেমা হল নয় সমগ্র বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলার “সিনেমাহল”র দর্শক কমতে দেখা যায়।কারন বাংলাদেশ ডিজিটালে পরিনত হওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় সিনেমা হল। আরেকটি কারন রয়েছে প্রতিটি মানুষের হাতে রয়েছে হ্যান্ডড্রয়েট মোবাইলসেট, ঘরে ঘরে রয়েছে টেলিভিশন আর টেলিভিশনে সংযোক রয়েছে স্যাটালাইট ডীসলাইন।
৫০/৬০ চ্যানেলে বিভিন্ন রকমের ছবি,নাটক,অনুষ্ঠান সহ নিত্য নতুন বিনেদন দেখছে মানুষ ঘরে বসে। সে কারনে “সিনেমা হল”র প্রতি মানুষের আকর্ষন বিনষ্ট হয়ে যায়। দিন দিন বিলিন হয়ে যায় নড়াইল জেলার লোহাগড়া সেভেনস্টার সিনেমা হল এর মতন। সিনেমা হল থেকে তখন মানুষের ভালোর দিক ধাপিত হতো না বরং খারাপ দিকে ধাপিত হতো।তবে তারই প্রতিফল হিসাবে আজ লোহাগড়া সেভেনস্টার সিনেমা হল পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।ব্যবহার হচ্ছে কাঠ রাখার জন্য কাঠের ঘর, খড়কুটা আর নোংরা অপরিস্কার অবস্থায় অবস্থিত রয়েছে সেই আলোকসজ্জা প্রদীপময়ের সিনেমা হল” বর্তমান সেভেনস্টার সিনেমা হলটি প্রদীপহীন ফলক।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।